বৃক্ষের অবদান
কৃষিবিদ মো. ফরহাদ হোসেন*
বৃক্ষ মোদের অক্সিজেন দেয়, ফুল ও ফলের বাহার
মানব জাতি, পশু এবং পাখির জোগায় আহার।
জ্বালানি কাঠ, কাগজ, মধু, আসবাবপত্র যত
বৃক্ষ জোগায় রোগ ও রোগীর পথ্য শত শত।
দালান কোঠা, জাহাজ গাড়ি, নৌকা, দোকানপাট
সব খানেই আছে দেখুন, বৃক্ষ এবং কাঠ।
মৃত্তিকা ক্ষয় কমায় বৃক্ষ, কমায় মরু খরা
বৃষ্টি এনে অধিক হারে, শীতল রাখে ধরা।
গাছের ছায়ে জিরোয় পথিক, পাখি বাঁধে বাসা
সবাই ঋণী গাছের কাছে, সাহেব কিংবা চাষা।
সুগন্ধি, মোম, রঙ বানাতে বৃক্ষ লাগে ভাই
বৃক্ষ ছাড়া বাঁচার দেখি কোনো উপায় নাই।
তাইতো বলি আসুন সবে, লাগাই বৃক্ষ চারা
ধরণীরে দেই সাজিয়ে, সবার নজর কাড়া॥
বাঁচতে হলে
মো. সাজ্জাদ হোসেন**
বাড়ছে মানুষ বাংলাদেশে, বাড়ছে বাড়িঘর;
পাল্লা দিয়ে চাষের জমি কমছে নিরন্তর।
কদিন আগেও যেই জমিতে হতো ধানের চাষ,
এখন সেথায় মন্টু মিয়ার মেজো ছেলের বাস।
ধানের চাতাল, ইটের ভাটা, নতুন বাজার-হাট
খাচ্ছে গিলে শস্যভূমি, ফসলফলা মাঠ।
এমন ধারা চললে পরে খাদ্য পাবেন কই?
বলুন না ভাই-কোনো উপায় দেখেন কি লাগসই?
অনেক ভেবে একটি উপায় বলেছে সরকার
ফ্ল্যাটবাড়িতে পল্লীবাসীর বাস করা দরকার।
পল্লীগাঁয়ে গড়তে হবে ‘পল্লী জনপদ’,
নইলে পরে আসবে দেশে সমূহ বিপদ।
বসত বাড়–ক ঊর্ধ্বদিকে, বাড়তে যদি হয়,
না হয় যেনো আর আবাদি জমির অপচয়।
বাড়ির সাথে থাকবে বায়োগ্যাসের আয়োজন,
সোলার প্যানেল, গরুর খামার, আর যা প্রয়োজন।
বাঁচলে কৃষি বাঁচবে কৃষক, বাঁচবে দেশের লোক;
তাই কামনা- এই ধারণার বাস্তবায়ন হোক।
সবাই মিলে এসব কিছু সফল করা চাই,
বাঁচতে হলে প্রকল্পটির বিকল্প যে নাই॥
ঋতুর ফসল
সুশান্ত কুমার ঘোষাল***
বাড়ির পাশে জংলা জমি
রেখো নাকো ফেলে,
হাত লাগিয়ে সাফ করে নাও
তোমরা সবাই মিলে।
ঋতুর ফসল ফলাও সেথা
যখন যেটা মেলে।
লাউয়ের বিচি, কুমড়ো দানা
লাগাও পুকুর পাড়ে;
একটুখানি যত্ন নিলে
তরতরিয়ে বাড়ে।
জৈব সার একটু না হয়
সময়মতো দিলে।
লাউয়ে আছে ফলিক এসিড,
আছে ভিটামিন;
কুমড়ো খাবে, ভরা তাতে
বিটা ক্যারোটিন।
বালাই ব্যাধি দূরে রবে,
রইবে হেসেখেলে।
*উপজেলা কৃষি অফিসার, কাউখালী, পিরোজপুর **গণপূর্ত ই/এম, উপ-বিভাগ-১৩, মেইন মেকানিক্যাল প্লান্ট রুম, জাতীয় সংসদ ভবন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭, মোবাইল : ০১৫৫৪২৩১৬২৪; ***৯ ডব্লিউবি/৩, বর্ণালী লেকসিটি কনকর্ড, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯